জীবনে প্রথম রপ্তানি আয়

৬০০০ ইউ এস ডলার

জীবনের প্রথম রপ্তানি আয়

অনেকের কাছে এমাউন্ট টা খুব ছোট হতে পারে তবে আমাদের কাছে এটা শুধু স্বপ্ন । গত এক বছর আগে ঠিক এই সময় স্বপ্ন টা দেখেছিলাম বরই (কুল) এক্সপোর্ট করতে হবে।

গত এক বছর আগে বায়ারের কোম্পানির সাথে মামার পরিচিত থাকায়, বাংলাদেশী একজন রপ্তানি কারক এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তখনও পর্যন্ত আমরা এক্সপোর্টিং ব্যাপারে কিছু ই জানি না ।

ঢাকার একজন রপ্তানি কারক এর সাথে ভাই Shaon দেখা করেছিলেন তিনি সবকিছু শুনে রাজিও ছিল । এক্সপোর্টার কিছু স্যাম্পল দিতে বলেছিল … তার কথা মত দুই তিন দিনের মধ্যে shaon ভাই স্যাম্পল হাজির করেছিল । তারপর তিনি তার প্রোডাক্ট এর সাথে স্যাম্পল (কুল) হিসেবে বায়ার এর কাছে পাঠিয়ে দিল ।

বায়ার খেয়ে অনেক খুশি কারন তারা চায়না থেকে যে কুল আমদানী করে সেটার থেকে এটার কোয়ালিটি, টেস্ট সব দিক থেকে বেটার। বায়ার এটা নিতে চাইল….. কিন্তু দুর্ভাগ্য জনক বাংলাদেশী এক্সপোর্টার জানিয়ে দিল সে নিজেই প্রোডাক্ট কালেক্ট করে পাঠাবে.. আমরা আর সেখানে জড়িত থাকলাম না।

এরপর থেকেই যেন মাথায় একটা জিদ চেপে বসল যেভাবেই হোক এক্সপোর্টার হতে হবে। সেখান থেকেই ঘাটাঘাটি শুরু।

কি কি ডকুমেন্টস লাগবে, কোথায় যেতে হবে ,খরচ কত? এর পর থেকে আমার আর shaon ভাইয়ের দৌড়ানো

এভাবে ঘাটাঘাটি করতে করতে একদিন সামনে আসলো Small and Medium Enterprise Foundation (SME Foundation) থেকে এক্সপোর্ট -ইমপোর্ট ট্রেনিং এর একটা পোস্ট। রেজিট্রেশন করলাম …..

নিদিষ্ট দিনে অনলাইন ট্রেনিং এর মেসেজ আসল। জুম এর মাধ্যমে ট্রেনিং এ উপস্থিত হয়ে ট্রেইনার হিসেবে পেলাম Jahid Hussain ভাইয়া কে… যিনি হাজারেরও উপরে শিপমেন্ট এর সাথে জড়িত ছিলেন।

জাহিদ ভাইয়ার ট্রেনিং করলাম …উনি প্রতিটা ডকুমেন্টশন ব্যাপারে আইডিয়া দিলেন। উনার ট্রেনিং সেশনের সচ্ছতা আমাকে মুগ্ধ করেছিল ।একজন ট্রেইনার হিসেবে মানুষ এতটা কোপারেটিভ হতে পারে উনাকে দেখেই বুঝলাম।

ট্রেইনিং শেষে বুঝলাম উনি আমার ট্রেইনার থেকে এখন মেন্টর ও হয়ে গেছেন । যে কোন প্রবলেম এ উনাকে নক করলে উনি প্রবলেম টা সলভড করে দেন। এমনকি নিজ থেকে খোঁজ ও নেন।

সব কিছু মিলে যখন সেলস কনট্রাক্ট পেয়েছিলাম তারপর অন্যান্য ডকুমেন্টশন রেডী করা যেটার জন্য ট্রেনিং থেকে যতটুকু ধারণা ছিল তা থেকেই করে ফেললাম

পিআই, কমারশিয়াল ইনভয়েস, প্যাকিং লিস্ট।

এখানে একটু ব্যাংকিং এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করা উচিত… প্রথম যেদিন ফরেন এক্সচেঞ্জ ইনচার্জ এর সাথে দেখা করি উনি উৎসাহ দেওয়ার পরিবর্তে আমাদের মনটা আরও খারাপ করে দিচ্ছিল। এই আপনারা ছোট মানুষ এসব পারবেন না। এত ডকুমেন্টশন কিভাবে তৈরী করবেন। শুরু করার আগে আরও ভাবতে থাকেন… এমনকি উনার ব্যাংকে আমাদের একাউন্ট ই এপ্রোভ করছিল না।

পরে উনার উপরের যে বস উনার সাথে কথা বলে কিছু শর্ত দিয়ে রাজি হন।

সত্য বলতে সব জায়গায় ই একটা এক্সপেরিয়েন্স হয়েছে আমরা ছোট মানুষ ।

যায় হোক এই ছোট মানুষ হিসেবে ৬০০০ ডলার দিয়ে শুরু হলেও একদিন লক্ষ ডলারের স্বপ্ন দেখি। আল্লাহ যদি চান এমন ছোট মানুষ থাকতে থাকতে স্বপ্ন টা পূরণ করে ফেলব ইনশাআল্লাহ।

I Imran।

📣 ইমরান এর মত আমরা ১০০ জনেরও বেশি উদ্যোক্তাকে তাদের রপ্তানি যাত্রায় সহায়তা করতে পেরে গর্বিত। আসুন একসাথে বাংলাদেশের রপ্তানি খাত বৃদ্ধি করি!

📣 আপনার যেকোনোও পণ্য বিদেশের বাজারে পৌছাতে সব ধরনের সাহায্য করবে এক্সপোর্ট সেবা। প্রোডাক্ট সিলেকশন, ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট রিসার্চ, বায়ার সার্চিং, ডকুমেন্টেশন, লাইসেন্সিং, ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিংসহ সব ধরনের সেবা পাবেন এক্সপোর্ট সেবা থেকে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top